অর্ধেক রাস্তা থেকে ফিরে আসার কোনো মানে হয় না,
ফিরে আসতে গেলে যতটা রাস্তা অতিক্রম করবেন,
সামনে এগিয়ে গেলে ততটাই রাস্তা আপনাকে অতিক্রম করতে হয়।
তাই সবসময় সামনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।
বৃহস্পতি নবম স্থানে থাকলে মানুষের ভাগ্য ভালো থাকে এটা একদম সত্যি কথা। বৃহস্পতি নবম ভাবে থাকলে যদি পিরিত না হয় তাহলে মানুষ কোন না কোন ভাবে সামাজিক কারণে মানুষের উপকার পাবে, যেকোনো কাজে শেষ মুহূর্তে হলেও সাফল্য পাবে।
কিন্তু বৃহস্পতি যাদের নবম স্থানে নেই তাহলে কি তারা জীবনে কিছু করতে পারবে না? এই প্রশ্নটা আমার কাছে অনেক জ্যোতিষ শিক্ষার্থী এসে বারবার জিজ্ঞাসা করেছে। পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ আছে যারা সামাজিক কারণে প্রচন্ড প্রতিষ্ঠা কিন্তু তাদের কুষ্টিতে নবম ভাবে বৃহস্পতির অবস্থান দেখা যায় না। আসলে মনের দৃঢ়তা এবং কিছু করে দেখানোর সদিচ্ছা যদি মনে থাকে তাহলে মানুষ কোন না কোন ভাবে সাফল্য লাভ করতে বাধ্য।
জাপানের একটি ছোট রাজ্যের রাজা একটি বড় রাজ্যের সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিল, প্রথমদিনের যুদ্ধেই ছোট রাজ্যের রাজা কে প্রায় হারের মুখে পতিত হতে হয়েছিল, প্রথম দিন টা কোন রকমে নিজেকে সামলে রাখে পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল। রাজামশাই তার মন্ত্রী কে ডেকে বলেন আমরা প্রথম দিন যা যুদ্ধ করেছি আগামীকাল যুদ্ধের চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করব, আগামীকাল আমরা সমস্ত সেনা নিয়ে ওদের ওপর আক্রমণ করব আমরা এত জোরে আক্রমণ করব তার ফলে আমরা জিতে যাব।রাজামশাই-এর এই কথা শুনে মন্ত্রীমশাই অনেকটা অবাক হয়েছিলেন মনে মনে ভাবছিলেন এত কম সৈন্য নিয়ে রাজামশাই কি করে জিতবে? মন্ত্রী মশাই সৈন্যদেরকে গিয়ে জানালেন আগামীকাল রাজামশাই আক্রমণ করতে চাই এবং রাজামশাই বলেছেন আমরা জিতে যাব।সৈন্যরা সেটা শুনে অবাক হয়েছিলেন এত কম সংখ্যক সৈন্য নিয়ে আমরা কি করে এত বিশাল শরীরের মুখোমুখি হয়ে যেতে পারবো।
পরের দিন সকালবেলা যখন যুদ্ধে সৈন্যরা যাচ্ছিল তখন সামনে একটি মন্দিরে যুদ্ধে যাবার আগে সবাই পুজো করার পরে যখন সবাই তৈরি হচ্ছিলেন যুদ্ধের জন্য, রাজামশাই সবাইকে ডেকে বলে আমার কাছে একটি মুদ্রা আছে সেটা দিয়ে আমরা টস করে দেখব, যদি হেড আসে তাহলে আমরা জিতব, আর যদি তেল আছে তাহলে আমরা হারবো। সেই শুনে সমস্ত সেনাবাহিনী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকলেন রাজামশাই টসের দিকে। রাজামশাই টস করলেন দেখা গেল হেড পড়েছে।
সমস্ত সৈন বল উল্লাসিত হলেন,তারপরে সবাই যুদ্ধে গেলেন এবং যুদ্ধে জয় করে ফিরলেন। কিছুদিন পরে মন্ত্রী মশাই রাজার কাছে এসে বললেন রাজামশাই আমরা জিতে গেছি আমাদের ভাগ্যের জোরে, ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল তাই জন্য আমরা জিতে গেছি, টসে আমরা জিতে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম ভাগ্য আমাদের সহায় আছে।
তখন আজা মশাই মন্ত্রী মশাই কে ডেকে বলেন আমি যে মুদ্রা দিয়ে টস করেছিলাম তার দুটো দিকেই হেড ছিল। আমার সমস্ত সৈন্যরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, আসলে ভাগ্যের উপর নির্ভর করে তারা তাদের জীবনের সমস্ত কিছু ছেড়ে দিয়েছিল, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সেটা ভুলে গিয়েছিল।
আমাদের জীবনে দুদিকে হেড নামক মুদ্রাটি ভগবান আমাদের দিয়েছে, শুধু একটাই কথা আমরা কিভাবে সেই জিনিসটা দেখতে পারবো, যদি পজিটিভ ভাবে দেখি তাহলে আমাদের আশেপাশে সমস্ত কিছুই পজিটিভ মনে হবে, পজিটিভ মনে হলে সমস্ত কিছু হঠাৎ করে আমাদের আশেপাশের ভালো হয়ে উঠবে। তখন জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যায়, লড়াই করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়।আর যদি আমরা নেগেটিভ ভাবে নি তাহলে আমাদের জীবনের সমস্ত কিছু দুর্বলতায় পরিনত হবে।
আমাদের কুষ্টিতে নবম ভাবে বৃহস্পতি থাকুক আর না থাকুক, ভাগ্য আমাদেরকেই তৈরি করে নিতে হবে, আমাদের কুষ্টিতে শুধু একমাত্র বৃহস্পতির জন্য আমাদের জীবন নির্ধারণ করে না, নটি গ্রহের আলাদা আলাদা ভূমিকা আমাদের কুষ্টিতে আছে।
সম্রাট বোস
780023700