১৯১৮ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার জন্ম। তাঁর বাবা ছিলেন ইস্টার্ণ কেপ প্রদেশের থেম্বো রাজকীয় পরিবারের কাউন্সিলর।
বাবা নাম রেখেছিলেন রোলিহ্লাহলা ডালিভুঙ্গা মানডেলা। স্কুলের এক শিক্ষক তার ইংরেজী নাম রাখলেন নেলসন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার আপামর মানুষের কাছে তিনি ছিলেন ‘মাদিবা’।
তুলা লগ্ন আর তুলা রাশির জাতক মেন্ডেলা, লগ্নপতি ৮মে নিজের ঘরে অবস্থান করে মেন্ডেলাকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে অনেকটাই শক্তিশালী করে তুলেছিলো।
আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, প্রখর রসবোধ, তিক্ততা ভুলে বৈরি প্রতিপক্ষের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মত উদারতা এবং তাঁর বর্ণাঢ্য ও নাটকীয় জীবন কাহিনী—এসব মিলিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা ছিলেন এক জীবন্ত কিংবদন্তী।
৪/৯ পতি শনি আর বুধ অবস্থান করেছিলো ১১ পতির সাথে ১০ স্থানে। এই যোগে জাতকের পড়াশোনা শিক্ষা প্রতিষ্টা পেয়ে থাকেন।
তরুণ বয়সে নেলসন ম্যান্ডেলা চলে আসেন জোহানেসবার্গে, সেখানে তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের যুব শাখার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে পড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে।
জাতচক্রে লগ্নে শুভ গ্রহ এবং নবমে আর একটা শুভ গ্রহ এই দুই গ্রহের সমন্বয় চামর যোগ সৃষ্টি করেছে। এটি অত্যন্ত শুভ যোগ যাহা জাতব্যক্তিকে বিখ্যাত বানাতে সাহায্য করে।
একই সঙ্গে তিনি কাজ শুরু করেন একজন আইনজীবী হিসেবেও। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা অলিভার টাম্বোর সঙ্গে মিলে তিনি তার অফিস খোলেন জোহানেসবার্গে।
কেতুকে হিন্দুরা আধ্যাত্মিক গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করে যাহা লগ্নপতির সাথে সহাবস্থান । লগ্নপতিকে প্রভাবিত করছে এই কেতু। ত্যাগ স্বীকার এর প্রতীক কেতু। রাজকীয় পরিবারের সন্তান হিসাবে ম্যান্ডেলার একজন আইনজীবী হিসেবে সফল কর্মজীবন থাকতে পারে। যাইহোক, তিনি দেখেছেন যে তিনি তার সহকর্মী দেশবাসীদের অত্যাচার ও কষ্ট সহ্য করতে পারছেন না। অবিচারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে নিবেদিত এক পক্ষে অপেক্ষাকৃত সহজ মধ্যবিত্ত জীবনকে ছেড়ে দেওয়া কেতুর প্রভাবের খুব উপযুক্ত অঙ্গ। যেহেতু চাঁদ এর নিষ্পত্তিকারী শুক্র শুক্রবার তার কক্ষপথে কেতুকে সংযুক্ত করেছে, এই অ-উপাদান কেটুর প্রভাবটি আসলে বেশ শক্তিশালী ছিল। তিনি কেবল কারাগারে পরিষ্কার অস্তিত্বই বজায় রাখেননি, তিনি এমনকি রাষ্ট্রপতি হিসাবেও বাস করতেন এবং দাতব্য কাজে তার বেতন একটি বড় অংশ দান করেছিলেন।
ম্যান্ডেলার ১০পতি চন্দ্র লগ্নে অবস্থান করে ম্যান্ডেলার চরিত্র ও জীবন যাত্রার আকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বুধ এবং শনি কর্কট রাশিতে একত্রে মিলিত হয়েছিল। বুধ-শনির যোগের মানুষগুলি গভীর চিন্তাবিদ হতে থাকে যারা যুক্তিসঙ্গততা এবং ক্রম ও মানসিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ভূমিকা নিয়ে থাকে। এই গ্রহগুলির উভয়ই কর্কট রাশিতে অবস্থান করায় স্ব-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ম্যান্ডেলার মহান ক্ষমতাকে প্রতিফলিত করে। এই ধরনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা তার বর্ণবাদকে উৎখাত করার পক্ষে তার 27 বছরের কারাদন্ডের দণ্ডিত হয়, শনির দশা এবং বুধের অন্তর্দশায়।
১০ম ভাবে অবস্থান বুধ-শনি সংযোজন ঘটেছে তাও ১১ পতি রবির সাথে। ২০ ম শতাব্দীর সবচেয়ে বিখ্যাত নেতাদের মধ্যে ম্যান্ডেলার চূড়ান্ত ভূমিকা সম্পর্কে একটি ইঙ্গিত দেয়। যেমন ১/১০ ভাব সমন্বয় সাধারণত সফল এবং উচ্চ প্রফাইল মানুষের চার্ট পাওয়া যায়। ১০ম ভাবে রবির উপস্থিতি একটি সফল এবং সুপরিচিত ব্যক্তি, বিশেষ করে আদর্শের এবং রাষ্ট্রশাসন এর জন্য বিখ্যাত একটি কৈশোরের আরও প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
ম্যান্ডেলার জীবনযাত্রার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তার দীর্ঘ কারাগার। মজার ব্যাপার হল, এটি মঙ্গল গ্রহের অবস্থার মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে দেখা যেতে পারে। বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্যে মঙ্গল গ্রহটি শাস্তিকে চিহ্নিত করে। এটা সাধারণত বিচ্ছিন্নতা এবং বিচ্ছেদ ১২তম ভাবের সাথে যুক্ত করা হয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ম্যান্ডেলার মঙ্গল ১২ তম ভাবে অবস্থিত। মঙ্গল ১২সে থওকলেই কারাগারে যেতে হবে এমন কোনো কারণ নেই। মঙ্গলের অবস্থান বুধের দ্বারা শাসিত ভাব কন্যার ঘরে যেখানে মঙ্গল একেবারেই ভালো অবস্থায় নেই, তার ওপর শনির ৩য় দৃষ্টি মঙ্গলের ওপর । বুধ গ্রহটি শনির সাথে সহাবস্থান শনির দুঃখ কষ্ট ক্ষতি বুধের ওপর ছায়া পড়েছিলো। ফলস্বরূপ, এটি ম্যান্ডেলার ১২ তম ভাব আর মঙ্গল অনেক ভাবেই ক্ষতি হয়েছে। এটি একটি খুব কঠিন অবস্থান এবং কেন তিনি এত দীর্ঘ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন।
সম্রাট বোস
7890023700